নারী নির্যাতনেরপ্রতিবাদ
নারী নির্যাতনেরপ্রতিবাদকরতে গিয়ে গ্রেফতারহয়েছেন ভাষাসৈনিকঅধ্যাপিকা চেমন আরা।পুলিশ পর্দানশিন ১০নারীকেও আটক করেছে।গতকাল বিকালে জাতীয়প্রেস ক্লাব থেকে তাদেরআটক করা হয়।সম্প্রতি ইসলামী ছাত্রী সংস্থার২০ নেত্রীকে গ্রেফতারওনির্যাতনের প্রতিবাদএবং তাদের মুক্তিরদাবিতে আয়োজিত একগোলটেবিল বৈঠকে যোগদিতে এসেছিলেন এসবনারী। নারী অধিকারআন্দোলন আয়োজিত এইবৈঠকে বিএনপি,মহিলা জামায়াত ওইসলামী ছাত্রী সংস্থারনেতাকর্মী ছাড়াওবিভিন্ন পর্যায়েরনারী নেত্রীরা অংশনিয়েছিলেন। আটককৃতদেরমধ্যেও ছাত্রী সংস্থারকর্মীসহ আলোচকহিসেবে আগত অনেকনারী নেত্রী ওশিক্ষাবিদ রয়েছেন।রাত সাড়ে ৭টায় শেষ খবরপাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ওর্যাবেরবেষ্টনিতে গ্রেফতারআতঙ্কে প্রেস ক্লাবে আরও১৫-২০ জন নারী অবরুদ্ধছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ওসংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ১৭ডিসেম্বর মগবাজারেরকার্যালয়থেকে গ্রেফতারহওয়া ইসলামী ছাত্রী সংস্থারপর্দানশিন ২০নারীকে নির্যাতনেরপ্রতিবাদ ও মুক্তিরদাবিতে গতকালবেলা আড়াইটায় জাতীয়প্রেস ক্লাবেরভিআইপি লাউঞ্জে গোলটেবিলবৈঠকের আয়োজনকরে নারী অধিকারআন্দোলন। খবর পেয়ে দুপুরথেকেই প্রেস ক্লাবএলাকায় প্রিজন ভ্যানসহবিপুলসংখ্যক পুলিশ ওর্যাব ঘিরে রাখে।বেলা ৩টায়আলোচনা সভা শুরু হয়। এসময় অনুষ্ঠানে যোগদেয়ার জন্য প্রেসক্লাবে পৌঁছামাত্রগাড়ি থামিয়ে আটককরা হয় আয়োজক সংগঠনেরসভানেত্রী ও বিশিষ্টভাষাসৈনিকঅধ্যাপিকা চেমন আরা,সংগঠনের সহ-সভানেত্রী ওপরিকল্পনা কমিশনেরসাবেক বিভাগীয় প্রধানমমতাজ মান্নান, যুগ্মসম্পাদিকা নূরজাহানবেগম, ইডেনমহিলা কলেজের সাবেকঅধ্যাপকজোত্স্না ইদ্রিসকে।প্রেস ক্লাবে ঢোকার সময়আরও আটক করা হয়লালমাটিয়া মহিলা কলেজেরছাত্রী আমিনা খাতুন ওইডেনেরছাত্রী সাদিয়াসহ মোট ৬জনকে।এদিকে বিভিন্নগোয়েন্দা সংস্থারলোকদের নজরদারিরগ্রেফতার আতঙ্কেরমধ্যেই সম্পন্ন হয়গোলটেবিল বৈঠকেরকার্যক্রম। বিকালপৌনে ৫টার দিকে বৈঠকশেষে বের হওয়ার সময়প্রেস ক্লাবের প্রধানগেটে অবস্থাননেয়া র্যাব ও পুলিশ কয়েকদফায় ৪ নারীকে আটককরে। এ সময় র্যাব ওপুলিশের বিপুলসংখ্যকনারী সদস্য থাকলেওগ্রেফতারঅভিযানে নেতৃত্ব দেয়পুলিশের পুরুষ সদস্যরা।আটককৃতদের শাহবাগথানায় রাখা হয়েছে।গ্রেফতারের সময়বিপুলসংখ্যক র্যাব ওপুলিশেরউপস্থিতিতে প্রেস ক্লাবএবং আশপাশের এলাকায়ভীতিকর পরিস্থিতিরসৃষ্টি হয়।এ ব্যাপারে গতকালরাতে শাহবাগ থানারওসি সিরাজুল ইসলামজানান, জাতীয় প্রেসক্লাবেরসামনে থেকে বেলা সোয়া ২টারদিকে সাত নারীকে আটককরা হয়েছে। এখনওতাদেরনামে কোনো মামলা দেয়া হয়নি।সন্দেহজনক আটককরে শাহবাগ থানায়আনা হয়েছে। আটকনারীদের প্রাথমিকজিজ্ঞাসাবাদকরা হচ্ছে বলেও জানানতিনি। তবে কী অভিযোগতাদের আটক করা হয়েছে,এ ব্যাপারে নিশ্চিতকরে কিছুজানাতে পারেননি ওসি সিরাজুলইসলাম।শাহবাগ থানারডিউটি অফিসার এএসআইনুরুল আলম বলেন,আটককৃতদের তালিকা তারকাছে নেই। যাদের আটককরা হয়েছে তারা ওসিরকক্ষে রয়েছেন।জিজ্ঞাসাবাদশেষে তাদেরব্যাপারে সিদ্ধান্তনেয়া হবে।জানা গেছে, আটকৃতদেরমধ্যে জোত্স্না বেগম,লালমাটিয়া কলেজেরছাত্রী আমিনা খাতুন,ইডেন মহিলা কলেজেরছাত্রী সাদিয়া ওফাতেমা রয়েছে বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গত, নারী অধিকারআন্দোলনেরসেক্রেটারি ড. ফেরদৌসআরা বকুলের পরিচালনায়গতকাল অনুষ্ঠিতগোলটেবিলবৈঠকে প্রধান অতিথিরবক্তব্য রাখেন বিএনপিরএমপি রাশেদা বেগমহীরা। বক্তব্য রাখেনসুুপ্রিমকার্টেরঅ্যাডভোকেট ও সাবেকএমপি ফেরদৌস আক্তারওয়াহিদা,অধ্যাপিকা হাসিনা খানম,সাংবাদিকখাতুনে জান্নাত কণা,জেলখানায় আটকছাত্রীদের মা-বোনপ্রমুখ।বক্তারা বলেন,নিরাপরাধ ও পর্দানশিন২০ ছাত্রীকে আটককরে ইতিহাসের বর্বরতমঅধ্যায়সৃষ্টি করেছে বর্তমানসরকার। এসব নির্যাতিতনারীর পক্ষে তথাকথিককোনো নারীবাদী নেত্রীরা চুপথাকায় ক্ষোভ প্রকাশকরে তারা বলেন,ধর্মনিরপেক্ষতারনামে সরকারআসলে ধর্মহীনতা চালুকরার চেষ্টা করছে।জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করারসাহসনা পেয়ে চোরাগোপ্তা আক্রমণও গ্রেফতার করছে,যাতে কেউ এসব সংগঠননা করে। এই অন্যায়েরবিরুদ্ধে সারাদেশেরনারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধহয়ে রাজপথে নামারআহ্বান জানান তারা।এদিকে প্রেস ক্লাবথেকে ১০ নারী আটকেরঘটনায় তীব্র নিন্দা ওপ্রতিবাদ জানিয়েছেনজাতীয় মানবাধিকারসমিতির সভাপতি মঞ্জুরহোসেন ঈসা ও মহাসচিবসাংবাদিক মিলনসহবিভিন্ন সংগঠনেরনেতা।রবিবার তারিখে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন