টিপু সুলতানের অস্ত্রাগার এখন ‘পাবলিক টয়লেট’
নিউজ ডেস্ক : টিপু সুলতানের বিখ্যাত
তলোয়ারের কথা অনেকেই জানেন। কিন্ত শ্রীরঙ্গাপাটনা রেল স্টেশনের কাছে তার
অস্ত্রাগারটি এখন যে শোচনীয় অবস্থায় আছে তা হয়তো আমাদের জানা নেই। ভারতীয়
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই নিদর্শনটি
সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাবলিক টয়লেটে পরিণত হয়েছে।
বৃটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে
বীরত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতের মহীশূরের অধিপতি টিপু সুলতান।
তিনি ‘মহীশূরের বাঘ’ ও ‘টিপু সাহেব’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ভারতের
কর্নাটক প্রদেশের শ্রীরঙ্গপাটনার কাছে একটি অস্ত্রাগার নির্মাণ করা হয়েছিল
তার শাসনামলে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত সেই অস্ত্রাগারটি এখন ব্যবহৃত
হচ্ছে পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার হিসেবে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
শ্রীরঙ্গপাটনা রেল স্টেশনের কাছে অবস্থিত অস্ত্রাগারটি। ১৮ শতকে নির্মিত
প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শনটি বহু আগেই তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। এখন এটি
পরিণত হয়েছে দুর্বৃত্তদের আড্ডাখানায়। এখানে অবাধে বিভিন্ন অসামাজিক
কার্যকলাপ চলে। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে স্থাপনাটি। যথাযথ
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অস্ত্রাগারটি তার জৌলুস আগেই হারিয়েছে। অস্ত্রাগারের
দেয়ালে যে যা খুশি লিখছেন, আঁকছেন। শুধু তাই নয়, সমাজবিরোধী নানা
কর্মকাণ্ডের আখড়া হিসেবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। মদের বোতল, সিগারেটের ফেলে
দেয়া অংশ, (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্তূপাকার ধারণ করেছে।
প্রতিদিন সেখানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।
স্থানীয় বস্তিবাসী ও ট্রেনের যাত্রীরা পর্যন্ত টয়লেট হিসেবে
অস্ত্রাগারটিকে ব্যবহার করছেন। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে
সেখানকার। এদিকে রেললাইনের আশপাশে যেসব বস্তি রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের
অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ দিনের বেশির ভাগ সময় টয়লেট বন্ধ রাখে। ফলে, স্থানীয়
বাসিন্দা এবং এমনকি ট্রেনের যাত্রীরা রেলওয়ের গণশৌচাগারটি ব্যবহার করতে
পারেন না। অগত্যা তারা বেছে নেন টিপু সুলতান নির্মিত ঐতিহাসিক
অস্ত্রাগারটি।
স্টেট আর্কিওলজির কমিশনার বলছিলেন, আমরা সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করবো এবং অস্ত্রাগারটির দরজা বন্ধ করে দেবো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন