Mohsin Molla

সহজেই কনভার্ট করুন বাংলা ফন্ট - মুহসিন মোল্লা  ইউনিকোড টু বিজয়    বিজয় টু ইউনিকোড    মুছে ফেলুন

গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু কওমি মহিলা মাদরাসায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। ধর্ষণগুলো করছেন কিক্ষকরাই। বেড়া ক্ষেত খেয়ে খেয়ে ফেলার মতো বিষয়। অথবা রক্ষা করবেন তারাই ভক্ষকের ভুমিকা পালন করছেন। কওমি মহিলা মাদরাসার এই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। মাদরাসা শিক্ষক কর্তৃক অনাকাঙ্খিত এমন কর্মের সঠিক তদন্ত করে তাদের বিচারের আওয়ায় আনা উচিৎ। কড়া বিচার করা উচিৎ যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক এমন করতে পারে না। দু‘একজন শিক্ষকের নোংরা কর্মের জন্য অনেকে আবার পুরো কওমি অঙ্গণকে দায়ী করছেন। নিজের ঘৃণা ছুড়ে দিচ্ছেন দেশের সব আলেমদের দিকে। অনেকে আবার কওমি মহিলার বোর্ড গঠনের কথা বলছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন লিখেছেন, কিছু লেবাসধারীদের মাঝে শিশুনির্যাতন, স্ত্রীনির্যাতন, যৌন হয়রানিসহ অপরাধের প্রবণতা বেড়েই চলছে। শিশু বাচ্চাদের ওপর যৌনচাহিদা পূরণের জন্য পশুর মতো ঝাপিয়ে পড়ে। ঘরের পর্দানশিন স্ত্রী যদি এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করেন, তাহলে তার ওপরো চলে মারধর। তিনি আর লিখেছেন, মিডিয়াগুলো এসব বিষয় ‘হেডলাইন’ আসার আগে মুরুব্বিরা যদি সচেতন হতেন, তাহলে ভালো হতো। আরেক...

চারিদিক মিলিয়ে একটা কঠিন পরিস্থিতি এগিয়ে আসছে। ইসলামী ভাবধারার মানুষজন ও ইসলামী শিক্ষাধারা নিয়ে চতুর্মূখী বিপদের দ্বার উম্মোচিত হচ্ছে। কোনোদিন কেউ কী ভেবে দেখেছে, কওমী মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্ররা একসময় হাজার হাজার মানুষের সামনে ফেসবুকে  # মীই_টু  স্টাইলে কনফেশন করবে। নিজেদের সাথে হওয়া বা ঘটা কোনো বিশ্রি ঘটনার বর্ণনা দেবে। সেখানের কমেন্ট বক্সে শত শত কমেন্ট যাবে আরও বিশ্রি আকারে। যদিও ওই কনফেশনগুলো বেশিরভাগই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে কিন্তু আল্টিমেটলি তো কওমী মাদরাসায় এই সমস্যাটা আছে তা স্বীকার করতেই হবে। গত পাঁচদিনে সারাদেশ মিলিয়ে প্রায় পাঁচজন মাদরাসা হুজুর আইনের আওতায় এসেছে যারা সরাসরি একাধিক ধর্ষণ ও ছাত্রীদের মলেস্টেড করার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যার মধ্যে এক মাওলানা বিশজন ছাত্রীকে ধর্ষণের ব্যাপারেও সরাসরি স্বীকারোক্তি দিয়েছে! এর আগেও ভূড়ি ভূড়ি সংবাদ ও অনুসন্ধান এসেছে যেখানে দেখা গেছে ধর্ষণ, বলাৎকারসহ এমন কোনো ঘৃণ্য অপরাধ নেই যা করছি না আমরা দাড়ি-টুপিওয়ালারা। কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন? এভাবে এসব প্রকাশ হওয়ার পরও বাংলাদেশে কওমী মাদরাসার মুরুব্বী পর্যায় বা কারও উ...

Graphic Design – এর কোন বিষয় নিয়ে কাজ করব? একটা প্রশ্ন আমাকে অনেকেই করেন যে, Graphic Design তো শিখব কিন্তু কোন বিষয়টা নিয়ে কাজ করব? অর্থাৎ Graphic Design তো অনেক বড় জায়গা কোনটা করব? আসলে উত্তরটা খুব সহজ। দিচ্ছি উত্তরটা তার আগে জেনে নিই কয়েকটি বিষয়, আপনি কি খুব বেশি আগ্রহী? যদি আগ্রহী হন তবে কতটা সময় দিতে পারবেন? ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান? এই প্রশ্নগুলো আগে নিজের কাছে পরিষ্কার হয়ে নিন তারপর এই লেখাটি পড়ুন। আর যদি শুধুমাত্র জানার জন্যে পড়েন তো ভিন্ন কথা। তো চলুন দেখি কি আছে আজ আপনাদের জন্যে। তার আগে আমরা গত লেখাটা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। গত প্রকাশনায় আমাদের বলেছিলাম পেশা হিসেবে Graphic Design কতটা সম্মানজনক। চেষ্টা করেছিলাম কিছু প্রচলিত প্রশ্নের উত্তর দিতে। আলোচনা করেছিলাম  Graphic Design Course  করে কয়েকজন সফল মানুষদের কথা তুলে ধরতে। আর চেষ্টা করেছিলাম এই পেশাতে নতুনদের উৎসাহ করতে যাতে সবাই বুঝতে পারে কর্মমুখী পেশার গুরুত্ব। আশা করি লেখাটা সবার ভালো লেগেছিল এবং পাশাপাশি কিছু প্রশ্নেরও উত্তর পেয়েছিলেন। তারপরও যদি কিছু জানার থাকে নিচে Comment করতে পারেন। এবার...

অ্যাডোবি ফটোশপ – এরআদ্যপান্ত(পর্ব – ১) গতপর্বে আমরা Graphics এর কোন বিষয় নিয়ে কাজ করব তার উপর এবং সাথে সাথে বিভিন্ন Graphic Software নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। আশা করি সবার ভালো লেগেছিল। এবং অনেক কাজেও লেগেছিল। যারা আগের লেখাটি পড়েছেন তাদের জন্যে এই লেখাটি আর অনেক কাজে আসবে বলে আশা করছি। আজকের পর্বে আমরা Adobe এর সবচেয়ে জনপ্রিয় Application টি নিয়ে আলোচনা করছি। এখন পর্যন্ত Adobe এর যতগুলো  Application  বেড়িয়েছে তার মধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় Application হল  অ্যাডোব ফটোশপ  ।  তো চলুন মূলপর্বে প্রবেশ করি। সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ অ্যাডোব ফটোশপ   একটি ছবি সম্পাদনাকারী সফটওয়্যার। সাধারণ ভাবে সফটওয়্যারটিকে শুধুমাত্র ফটোশপ নামেই ডাকা হয়। এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে অ্যাডোবি সিস্টেমস। অ্যাডোবির সব থেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যার এটি। বর্তমানে এই সফটওয়্যারটি ম্যাক ওএস এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য পাওয়া যায়। থমাস নল (Thomas Knoll) এবং জন নল (John Knoll) নামের দুই ভাই ১৯৮৭ সালে ফটোশপ তৈরির কাজ আরম্ভ করেন। সময়টা ১৯৮৭ সাল। তখন থমাস নল একজন পিএ...

ফজর নামাজে অভ্যস্ত করতে পারি নি। তুমি এক মাসেই পেরেছ! →আম্মু, আপনি কি পাথর আর স্বর্ণের গল্পটা জানেন? →না তো! →কোন এক গ্রামে চলাচলের পথে একটি বড় পাথর প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াল।এক ব্যক্তি রাস্তা পরিস্কার করতে মনস্থ করল।সে একটি কুড়াল নিয়ে পাথরটি ভাঙার চেষ্টা করল। ৯৯টি আঘাত করে সে ক্লান্ত হয়ে গেল। তখনই সেখান দিয়ে এক পথিক যাচ্ছিল। লোকটি পথিকের সাহায্য চাইলো। পথিক কুড়াল নিয়ে আঘাত করতেই পাথরটি ভেঙে গেল এবং ভেতর থেকে স্বর্ণভর্তি একটি থলে বেরিয়ে এল। -পথিক: যেহেতু পাথরটি আমার আঘাতে ভেঙেছে তাই থলেটি আমার। -আমাকেও কিছু দাও।আমিও যে ৯৯টি আঘাত করলাম। পথিক রাজি হল না। দুজনে কাজীর কাছে গেল। সব শোনে কাজী মীমাংসা করলেন। স্বর্ণগুলোকে ১০০ভাগ করে ১ভাগ দিলেন পথিককে বাকি ৯৯ভাগ লোকটিকে দিয়ে দিলেন। বললেন,' "যদি তোমার ৯৯টি আঘাত না হত তাহলে এই পাথরটি ভাঙতোই না"। -আম্মু,আপনি ২৮টি বছর পরিশ্রম করে সবকিছু প্রস্তুত করেছেন। আমি শুধু শেষ আঘাতটাই করেছি। বউ-শাশুরীর সম্পর্কগুলো এরকম মধুর হলে কোন পরিবারেই অশান্তি থাকতো না। ইসলামী