একের পর এক মাদরাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ, তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু কওমি মহিলা মাদরাসায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। ধর্ষণগুলো করছেন কিক্ষকরাই। বেড়া ক্ষেত খেয়ে খেয়ে ফেলার মতো বিষয়। অথবা রক্ষা করবেন তারাই ভক্ষকের ভুমিকা পালন করছেন। কওমি মহিলা মাদরাসার এই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। মাদরাসা শিক্ষক কর্তৃক অনাকাঙ্খিত এমন কর্মের সঠিক তদন্ত করে তাদের বিচারের আওয়ায় আনা উচিৎ। কড়া বিচার করা উচিৎ যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক এমন করতে পারে না। দু‘একজন শিক্ষকের নোংরা কর্মের জন্য অনেকে আবার পুরো কওমি অঙ্গণকে দায়ী করছেন। নিজের ঘৃণা ছুড়ে দিচ্ছেন দেশের সব আলেমদের দিকে। অনেকে আবার কওমি মহিলার বোর্ড গঠনের কথা বলছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন লিখেছেন, কিছু লেবাসধারীদের মাঝে শিশুনির্যাতন, স্ত্রীনির্যাতন, যৌন হয়রানিসহ অপরাধের প্রবণতা বেড়েই চলছে। শিশু বাচ্চাদের ওপর যৌনচাহিদা পূরণের জন্য পশুর মতো ঝাপিয়ে পড়ে। ঘরের পর্দানশিন স্ত্রী যদি এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করেন, তাহলে তার ওপরো চলে মারধর। তিনি আর লিখেছেন, মিডিয়াগুলো এসব বিষয় ‘হেডলাইন’ আসার আগে মুরুব্বিরা যদি সচেতন হতেন, তাহলে ভালো হতো।আরেকজন লিখেছেন, এখনও দেখি আমাদের কতিপয় তরুণ বা বুড়োরা যেই নিউজে কওমি মাদরাসা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যৌন হয়রানির রিপোর্ট করে তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ে। সঠিক তদন্তের পক্ষে কথা না বলে তারা বরং ওই পশুদের এসব অপকর্মের আস্কারা দেয়। মন্দিরের পুরোহিত ভুল করলে মসজিদের ইমাম যে করতে পারেনা এমন তো নাই, সেও করতে পারে। তবে তদন্ত সঠিক হওয়া উচিত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এসব অপরাধ প্রবণতা মসজিদ মাদরাসাওলাদের থেকে তাহলে অনেক কমে যেতো। তিনি লিখেছেন, একটা বোর্ড শুধু পরীক্ষা নেবে, ভর্তির সময় কিছু চাঁদা নেবে এতটুকু কর্তব্য হতে পারে না। বোর্ড থেকে যেভাবে বিভিন্ন মাদারাসায় পরিদর্শক পাঠিয়ে পড়াশোনার মান যাচাই করা হয়, তেমনিভাবে ছাত্র শিক্ষকদের আমলি ও আখলাকি মানও পরিদর্শন করা উচিত। কোনো রিপোর্ট পেলে তদন্তভার নিয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা বোর্ডের কর্তব্য হওয়া উচিত। কোনোকালে এই দায় না নিলেও এখন এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি।অনেকেই বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, একজন লিখেছেন, বুঝে আসছে না। হুজুরদের সমস্যাটা কোথায়? এসব ভন্ড হুজুরগুলো কওমি মহিলা মাদরাসা বন্ধ করার জন্য কেন উঠে পড়ে লেগেছে। আল্লাহ না করুক, এমন হতে থাকলে সরকারের পক্ষ থেকেই ঘোষণা আসবে। স্কুলে কলেজেও হয়। তারা বিশটা ধর্ষণ করতে পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে হুজুরদের তুলনা চলে না। তাদের পরিবেশ আর হুজুরদের শিক্ষার বিষয়বস্তু পুরোটা আলাদা। নববি শিক্ষা যারা দেয় তাদের এই হালাত আর দেখতে ইচ্ছে করে না। গত কয়েক দিন ধরে এ সংবাদগুলো সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাসলিমা নাসরিনও দেখলাম বেশ সরব ইস্যূটি নিয়ে। এমনিতে হুজুরদের দোষ বেশি তারপও আবার এমন জঘন্য কার্ম। নাহ। আর শুনতে ভাল লাগে না।
প্রসঙ্গত, নৈতিক পদস্খলন ও সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন কলরবে থাকা কিশোর শিল্পী শামিম আহমেদকে কলরবের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দিয়ে একটি ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে।গত ৩১শে মে ২০১৯ শুক্রবার বিকেল ৩ টায় কলরবের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নানারকম বিশৃঙ্খলা, নৈতিক পদস্খলন ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কিছু কার্যক্রম এর প্রমাণ পাওয়ায় কিশোরশিল্পী শামিম আহমাদকে ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরব’ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সে থেকে কলরবের ঈদ পরবর্তী প্রোগ্রামসহ কলরবের সকল আয়োজনেই তার অংশগ্রহণ বন্ধ ছিল। তার গাওয়া দুটি সংগীত রিলিজের অপেক্ষায় থাকলেও এসব কারণে সংগীত দুটিও রিলিজ করা হয়নি আর। সুতরাং তার পরিচয় কলরব হিসেবে না দেয়ার জন্য অনুরোধ রইল। মসি/মনূ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন