কওমী অনলাইন এক্টিভিটিস



 
@ মৌলভীবাজারে হেফাজতের নাশিদসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত @
মৌলভীবাজার ঈদগাহমাঠে অদ্য ১২্৪্১৩ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত
১০টা অবধি অনুষ্ঠিত হলো আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের
উদ্যোগে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ' নাশিদসন্ধ্যা ' । মিম
সুফিয়ান ও ইনাম বিন সিদ্দিকের উপস্থাপনায়
অনুষ্ঠানে গণজাগরণি সঙ্গীত পরিবেশন করেন , বিএফভি সিলেটের শিল্পী আহমদ আব্দুল্লাহ , নুরে আলম , শালীন আহমদ , ও আল আলম
সাংস্কৃতিক ফোরাম মৌলভীবাজার । নাটিকা ও কৌতুক পরিবেশন
করে মৌসাস । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম ইউকের
চেয়ারম্যান মাওলানা শেখ নুরে আলম হামীদী । আল্লামা শায়খ খলিলুর
রহমান হামীদীর মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ।
উল্লেখ্য , অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেল এমসিএন । মহিলাদের উপভোগের জন্য ছিলো পূর্ণ পর্দার সাথে বিশেষ
ব্যবস্থাপনা । এ ছাড়াআও মৌলভীবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ৩
টি পয়েন্টে সাধারণের উপভোগের জন্য ছিলো প্রজেক্টরের সুচারু
ব্যবস্থাপনা ।<< Mim Sufian
— by maimoon
ইসলাম না থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাও থাকবে না
রাস্তা থেকে বলছি
এরশাদ মজুমদার

আমাদের পূর্বপুরুষ, বাপ-দাদারা এই দেশটি আবাদ করে আমাদের দিয়ে গেছেন আমানত হিসেবে। এই দেশটি আমাদের কাছে বাপ-দাদার আমানত। পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া বায়া দলিল। যে সন্তান বা ওয়ারিশেরা বায়া দলিলের হেফাজত করে না, তারা সেই মালিক থাকতে পারে না। একদিন তারা নিজের সম্পদ ও জমিজমা থেকে উচ্ছেদ হয়ে যায়। বাংলাদেশে আজ এমন একটি অবস্থা বিরাজ করছে, যাতে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে কি না, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশ থাকলেও ইসলাম থাকবে কি না, সে প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। দিল্লি, কলকাতায় অনেকেই বলেন, মুসলমানদের টুপি থাকলেই চলেÑ পাছার কাপড় আছে কি না, দেখে না। এর মানে মুসলমানেরা বেকুব। কলকাতায় আমার এক মাড়োয়ারি বন্ধু আছে, সে বলে কাউকে বানাতে হলে আমরা বলি উসকো টুপি পহেনা দো। এর মানে যারা টুপি পরে তারা সবাই বোকা। মহাজ্ঞানী আল বিরুনির বিখ্যাত গ্রন্থ ভারত তত্ত্বে বলেছেন, ভারতীয় মায়েরা শিশুদের মামদো ভূতের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। তখন বিদেশী ইসলাম প্রচারক মুসলমান, বাদশাহ, সৈনিক, দরবেশ যারা ভারতে এসেছেন তাদের সবার পোশাক ছিল লম্বা জুব্বা, মাথায় পাগড়ি, মুখে লম্বা দাড়ি। ভারতে এ ধরনের পোশাক পরিচিত ছিল না। তখন নাকি ভারতীয়রা সেলাই করা পোশাক পরতে জানত না। খাদ্যের ব্যাপারেও তারা তেমন সচেতন ছিল না। মুসলমানেরাই পোশাকের রীতিনীতি, সুস্বাদু খাদ্য, ইতিহাস রচনা, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত সাধনা ভারতে নিয়ে এসেছেন।

আমাদের পূর্বপুরুষ বাপ-দাদারাই আমাদের দিয়ে গেছেন উচ্চতর ধর্মের জীবনব্যবস্থা ও ভারতীয় জীবনের বর্ণবাদ থেকে মুক্তির সনদ। আর সেটাই হলো ইসলামের সাম্যবাদ, যেখানে মানুষে মানুষে নেই কোনো ভেদাভেদ। মসজিদের একই কাতারে দাঁড়িয়ে রাজা-প্রজা আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়িয়ে নামাজ বা সালাত আদায় করে। ইসলাম হাজার ঈশ্বরের পূজা থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। ইসলামই মানুষকে শোষণ থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। ফলে অখণ্ড বঙ্গদেশকে একটি আধুনিক দেশে পরিণত করেছে মুসলমান শাসকেরা। কালক্রমে এই দেশটি মুসলমানদের মাতৃভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বঙ্গের পূর্বাঞ্চলে মুসলমানদের আবাদি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলাকে অচ্ছুতের ভাষায় পরিণত করেছিল হিন্দু শাসক ও ব্রাহ্মণেরা। মাতৃভাষা শিা লাভ করা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। এই তো মাত্র চার শ’ বছর আগে বাংলার মুসলমান কবি আবদুল হাকিম লিখেছেন,

‘যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী

সে সবার কিবা জন্ম নির্ণয় ন জানি।’   


.....................
http://www.dailynayadiganta.com/new/2013/04/14/162976.htm

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সব ধরনের যাদু-টোনা ও বান কাটার সহজ আমল

ফাজায়েলে আমাল নিয়ে এত বিভ্রান্তি কেন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম