জিহাদ, আন্দোলন, রাজনৈতিক কর্মকান্ড, নির্বাচন, আন্তজাতিক পর্যালোচনা ও সম্পর্ক স্থাপন সহ নানান কাজ ঐক্যের ভিওিতে একটি কমান্ড সেলের মাধ্যমে হওয়া চাই।
১। আওয়ামী লীগ ভারত পন্থি, সেক্যুলার।
২। বিএনপি আমেরিকা পন্থি, জাতীয়তাবাদী।
৩। জাতীয়পার্টি সুবিধা পন্থী, জাতীয়তাবাদী।
৪। জামায়াতে ইসলামী হযবরল, ইসলাম পন্থি দাবীদার।
৫। বামেরা রাশিয়া ও বেইজিং পন্থি, কমিউনিষ্ট।
৬। ফরায়েজি আন্দোলন
৭। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
৮। নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ।
৯। খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ।
১০। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
১১। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
১২। খেলাফত মজলিস
১৩। ইসলামী ঐক্যজোট
১৪। ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
আমার জানামতে ৬-১৪ নং দলগুলোর লক্ষ্য উদ্দেশ্য একই রকম, কর্মপন্থা ও কর্মসূচী প্রায় একই। এদের সবার দাবী এরা মদিনা পন্থি, আর তাদের রাজনৈতিক দর্শন খেলাফত আলা মিনহাজুন নবুওয়্যাহ।
এখন প্রশ্ন হল আকাবির আসলাফ এর আমানতের দোহাই দিয়ে বা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাটা অথবা নেতৃত্ব দেয়া বুর্জরগানদের দোহাই দিয়ে আমরা বিভেদের যে দেয়াল তুলে রেখেছি এটা কাদের স্বার্থে?
আকাবির আসলাফগন সময়ের প্রয়োজনে নতুন সংগঠন গড়েছেন, পূর্বেরটা স্থগিত করেছেন অথবা বাতিল করেছেন, দ্বীনের প্রয়োজন আর স্বার্থ তাদের কর্মে প্রাধান্য পেয়েছে।
বাংলাদেশে এতগুলো দল একই উদ্দেশ্যে কাজ করে অথচ তাদের ঐক্য নাই বিষয়টা আপত্তিকর ও সন্দেহ জনক। এ বিভেদ সূক্ষ ষঢ়যন্ত্র। যদি গোষ্ঠীর স্বার্থ, পরিবারের স্বার্থ, ব্যক্তির স্বার্থ, মাদরাসা, প্রতিষ্ঠান কিংবা এলাকার স্বার্থ এ বিভেদের কারন হয় তাহলে আমরা স্পষ্টত গোমরাহিতে আছি।
সংগঠনগুলোর ইতিহাস ঐতিহ্যের দিকে লক্ষ্য করে যদি বিলুপ্ত বা স্থগিত করা না যায় তবে সেবা, দাওয়াত ও শিক্ষা সেক্টরে নিজ নিজ নামে কাজ করা যায়। যেমন ক্লিনিক / হাসপাতাল স্থাপন, পাঠাগার তৈরি ও পরিচালনা, সেবা সংস্থা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা, স্কুল, মকতব, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা, গাছ রোপন ও পরিচর্যা, সড়ক ও মহল্লা পরিষ্কার রাখা, মসজিদ ভিওিক কোরআন শিক্ষা, সুন্নতে নববীর আলোচনা সহ অন্যান্ন দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
জিহাদ, আন্দোলন, রাজনৈতিক কর্মকান্ড, নির্বাচন, আন্তজাতিক পর্যালোচনা ও সম্পর্ক স্থাপন সহ নানান কাজ ঐক্যের ভিওিতে একটি কমান্ড সেলের মাধ্যমে হওয়া চাই।
ঐক্যের প্রাথমিক ভিওি তৈরি হতে পারে এভাবেই।
আল্লাহপাক আমাদের তৌফিক দান করুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন