তাবলীগে যাওয়া’ মানে কি ‘আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া’? ********************************************* *******
‘# কোনো এক মসজিদে তাবলীগের এক
সাথীভাই তাশকীলের উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাস্তায়
বের হওয়ার ফাযায়িল বর্ণনা করছিলেন। এক পর্যায়ে
তিনি বললেন,
“এক সকাল অথবা এক বিকাল আল্লাহ'র রাস্তায় ব্যয় করা
দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে
উত্তম।“
.
সাথে সাথে এক ছোকরা দাঁড়িয়ে বলল,
.
# চাচা....!. এই হাদীস তো জিহাদের হাদীস। আপনি
কিন্তু তার অপব্যাখ্যা করলেন। তাবলীগে বের
হওয়া কি করে আল্লাহর রাস্তা হয়। যেখানে ‘ফি
সাবিলিল্লাহ’ এসেছে, সেখানেই যুদ্ধযাত্রা বুঝানো
হয়েছে। সশস্ত্র জিহাদের ফজীলত বুঝানো
হয়েছে। আপনি কিনা তা তাবলীগে বের হওয়ার
ক্ষেত্রে ব্যবহার করলেন। যুদ্ধযাত্রা, শরয়ী
জিহাদ, কিতাল ছাড়া আর কোথাও এই ফজিলত বলা যাবে
না। কারন তাবলীগে যাওয়া তো আল্লাহর রাস্তা নয়।”
.
# জবাবে ঐ সাথীভাই বললেন,
-" বাবা! কিছু মনে করো না।
.
রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তায়েফ
সফর, রাসুলের হিজরত, হুদাইবিয়ার ঐ সফর এবং
সাহাবীদের ঐ জামাত, যাদের আবিসিনিয়ায় পাঠানো
হয়েছিলো, সাহাবীদের ঐ জামাত যাদের
তালীমের জন্য পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু
বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের হত্যা করা হয়েছিলো
ইত্যাদি ঘটনার কোনটাই তো তাহলে আল্লাহর রাস্তা
নয়। কারন কোনটাই তো জিহাদের উদ্দেশ্যে
সফর ছিলো না। তোমার কথামতো তায়েফের
সে কষ্টকর সফর কি করে আল্লাহর রাস্তা হবে,
সেটি তো দাওয়াতের সফর ছিলো। কী বলো,
বাবা?”
.
আলহামদুলিল্লাহ। ছেলেটির ভুল ভাঙল এবং আল্লাহর
রাস্তায় বের হওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেলো।
.
# আসলে কোন মেহনতের জন্য আল্লাহর
রাস্তার ফজীলত বললেই সেটিকে শরয়ী জিহাদ
দাবী করা হয় না। জিহাদ, দাওয়াত, তালীম- তায়াল্লুম
প্রতিটিই পৃথক আমলের নাম, কিন্তু আল্লাহর রাস্তা
শব্দটি ব্যাপক, যা এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দীসগন
বলেছেন।
.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন