ফেইস বুকের কিছু বাংলা পড়ুয়া গগল মুফতি এবং কথিত আহলে হাদিস যারা বলেন তাকলিদ করা নাকি শিরক !! তাহলে কি তাদের মান্যবর আলেমরাও মুশরিক ??

# আহলে হাদীসভাইদের মান্যবর
আলেম নওয়াব সিদ্দিক হাসান
সাহেব লিখেনঃ “সাধারণ মানুষের
উপর মুজতাহিদের তাকলীদ করা
এবং তার ফাতওয়ার উপর চলা
ওয়াজিব।”
{লুক্বতাতুল উজলান-১৩৭}
# মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান গায়রে
মুকাল্লিদ সাহেব লিখেনঃ “সাধারণ
লোকদের জন্য উলামাদের তাকলীদ
করা আবশ্যক।
{হাদইয়াতুল মাহদী-১১০}
# মাওলানা সানাউল্লাহ উমরতাসরী
গায়রে মুকাল্লিদ সাহেব লিখেনঃ
“এটাতো স্বীকৃত কথা যে,
ইলমহীনের উপর আলেমের তাকলীদ
করা জরুরী।”
{তাকলীদে সখসী-২০}
# গায়রে মুকাল্লিদ তথাকথিত
আহলে হাদীস জামাতের নামকরা
আলেম মাওলানা এনায়েতুল্লাহ
আসরী সাহেব লিখেনঃ
“গযনবী বুযুর্গরা বিশেষ করে এবং
অন্যান্য আহলে হাদীসরা আমভাবে
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর
আমালান তাকলীদ করে থাকে।”
{আলইতরুল বালীগ-১৫৯, রাসায়েলে
আহলে হাদীস, ২য় খন্ড}
# মাওলানা শিয়ালকুটি গায়রে
মুকাল্লিদ সাহেব তার শায়েখ মিয়া
নজীর হুসাইন দেহলবী সাহেবের
কিতাব “মিয়ারে হক” এর রেফারেন্সে
লিখেন যে, মুতলাক তাকলীদ
ওয়াজিব। দেখুন তার ভাষ্যঃ
“অবশিষ্ট রইল না জানা ব্যক্তিদের
তাকলীদ। এটি চার প্রকার। প্রথম
প্রকার হল ওয়াজিব। এটি হল
মুতলাক তাকলীদ। মুজতাহিদ আহলে
সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত হতে হবে।
সুনির্দিষ্ট কাউকে নয়, যার উল্লেখ
মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ
মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ “ইকদুল
জীদ” গ্রন্থে লিখেছেন যে, “এ
তাকলীদ ওয়াজিব এবং সহীহ পুরো
উম্মতের ঐক্যমত্বে। আর দ্বিতীয়
প্রকার হল সুনির্দিষ্ট মাযহাবের
তাকলীদ করা এটি জায়েজ”। {তারীখে
আহলে হাদীস-১৪৭}
‪#‎ওয়াহিদুজ্জামান‬ সাহেব লিখেছেনঃ
“বর্তমান জমানার এক জামাত যারা
নিজেদের আহলে হাদীস পরিচয় দেয়,
তারা সুন্নতের অনুসারী দাবি করার
পরও নিজেদের আলেম যেমন ইবনে
তাইমিয়া, শাহ ওয়ালী উল্লাহ,
শাওকানী এবং মাওলানা ইসমাঈল
শহীদ প্রমূখদের এমন মুকাল্লিদ
হয়ে যায় যে, তাদের রায়ের বিপরীত
দলীল বর্ণনাকারীদের দলীল পর্যন্ত
শুনে না।“
{তাইসীরুল বারী-৬/৪৯৯, নুমানী
কুতুবখানা}
ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব এ
বক্তব্যের পরপরই লিখেনঃ
“পূর্ববর্তী আইয়িম্মায়ে দ্বীন যেমন
ইমাম আবু হানীফা রহঃ, ইমাম
শাফেয়ী রহঃ প্রমূখ ও অন্যান্য
ওলীআল্লাহ বা সুফিয়ানে কেরাম
ছিলেন, তাদের সমালোচনা পর্যন্ত
করে বেড়ায়।” {তাইসীরুল
বারী-৬/৪৯৯}
# গায়রে মুকাল্লিদ মাওলানা
ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব লিখেছেনঃ
“আমাদের আহলে হাদীস ভাইয়েরা
ইবনে তাইমিয়া, ইবনে কাইয়্যুম,
শাওকানী, শাহ ওয়ালী উল্লাহ এবং
মাওলানা ইসামাঈল শহীদ রহঃ দের
দ্বীনের ঠিকাদার বানিয়ে রেখেছে।
যেখানেই এসব বুযুর্গদের বিপরীত
মত কেউ গ্রহণ করেছে, সেখানেই
তাদের পিছনে লেগে গেছে। ভাল-মন্দ
বলতে শুরু করে দেয়। ভাইয়েরা! একটু
ইনসাফতো করেন। সেই সাথে একটু
ভেবে দেখুন! যখন তোমরা আবু
হানীফা এবং ইমাম শাফেয়ী রহঃ দের
তাকলীদ ছেড়ে দিয়েছো, সেখানে
ইবনে তাইমিয়া, ইবনে কাইয়্যুম এবং
শাওকানী রহঃ দের মত পরবর্তীদের
তাকলীদের কী প্রয়োজন?
{ওহীদুল লুগাত, মাদ্দা সার, হায়াতে
ওহীদুজ্জামানের উদ্ধৃতিতে-১০২}
আপনাদের মান্যবর আলেমরা কি
আপনাদের মতে মুশরিক ???

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সব ধরনের যাদু-টোনা ও বান কাটার সহজ আমল

ফাজায়েলে আমাল নিয়ে এত বিভ্রান্তি কেন

জুলকারনাইন